এবার শুরুতে একটি হলুদ কার্ড মানে সতর্ক হয়ে যাও। আর দুই হলুদ কার্ড-এক লাল কার্ডের সমান। অর্থাৎ একই ম্যাচে দুটো হলুদ কার্ড দেখার সঙ্গে সঙ্গেই মাঠ ছাড়তে হয় ফুটবলারকে। তবে উয়েফা কনফারেন্স কাপ ফরাসি ক্লাব লিলের সঙ্গে খেলার সময় দুটি হলুদ কার্ড দেখানো হয় এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে। কিন্তু তারপরও বহিষ্কার হতে হয়নি তাকে।
এদিন ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে সময় নষ্ট করার জন্য প্রথমবার হলুদ কার্ড দেখেন এমিলিয়ানো। তখন তার দল ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল। ঘরের মাঠে প্রথম লেগে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় মূলত তখন ছিল ২-২ ব্যবধানে সমতা। ম্যাচ যে এমিলিয়ানো টাই-ব্রেকারে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তাতেই স্পষ্ট।
এদিকে লিলের অধিনায়ক বেঞ্জামিন আন্দ্রে এরপর লিড দ্বিগুণ করলেও শেষদিকে লেফট-ব্যাক ম্যাটি ক্যাশের দুর্দান্ত গোলে অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে ম্যাচ গড়ায় টাই-ব্রেকারে। সেখানেও একবার হলুদ কার্ড দেখেন এমিলিয়ানো। কিন্তু নিয়মের বেড়াজালে বহিষ্কার হতে হয়নি তাকে।
টটেনহ্যামের সাবেক মিডফিল্ডার নাবিল বেনতালেব বল তুলে নেওয়ার পরই মাইন্ড গেম শুরু করেন এই গোলরক্ষক। তখন স্লোভাকিয়ান রেফারি ইভান ক্রুজলিয়াক তাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করেন। এরপর বেনতালেবের শট ঠেকিয়ে দেওয়ার পর স্থানীয় ভক্তদের চুপ করার প্রয়াসে তার ঠোঁটে আঙুল রেখে উদযাপন করেন এমিলিয়ানো।
এদিন পুরো ম্যাচেই তাকে দুয়ো দিয়েছিলেন লিলের সমর্থকরা। তবে তার উদযাপন পছন্দ হয়নি রেফারি ক্রুজলিয়াকের। সতর্ক করার পরও না থামলে দ্বিতীয়বারের মতো তাকে হলুদ কার্ড দেখান, তবে লাল কার্ড দেখাননি।
এদিকে ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, মূল ম্যাচের হলুদ কার্ড বিবেচনায় নেওয়া হয় না টাইব্রেকারে। তাই দুটি হলুদ কার্ডেও লাল কার্ড দেখতে হয়নি এমিলিয়ানোকে। তবে এই ম্যাচে লাল কার্ড না দেখলেও দুটি হলুদ কার্ডের কারণে সেমি-ফাইনালে অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচে নিষিদ্ধ থাকবেন এই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক।
নিয়মের কারণে বেঁচে যাওয়া এই গোলরক্ষকই শেষ পর্যন্ত ভিলার জয়ের নায়ক। বেনতালেবের শট ঠেকিয়ে দেওয়ার পর লিলের অধিনায়ক আন্দ্রের শটও ঠেকান এই এমিলিয়ানো। এ নিয়ে টানা পাঁচটি টাই-ব্রেকারে জিতলেন তিনি। কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালেও এমিলিয়ানোর বীরত্বে টাই-ব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা।